জেনুইন জকি : শুভ আঢ্য






দরজার সামনে কাঠ, অস্থিরতা তাতে ফোটে কড়ার দুপাশে
যেমন মেয়েটি বিছানায় কণ্ডোমের সামনে ফুটে ওঠে
উথলানো দুধের পরিধি ছেড়ে
আর কাঠ যেন সেই মেমব্রেন
ভেদ আর ভেদকের অঙ্ক
মেলে না কিছুতেই যেন...

ওদিকে দ্রুতি উদ্রেককারী ওই পশুটি
ঠুকে চলেছেতার পেছনের পা-দুটি
যেমন করে জকি বিছানায় ইজাকুলেশনের মুহুর্তের আগে
শানায় ছুরি আর চোখ
যার তাল চারমাত্রা পেরিয়ে
চলে যায় ঝালায় যে কোনো মুহুর্তে
তার পর মেয়েটির ভেতর পা কিছুটা ছড়িয়ে দেয় এবং
সেই মাঠ আর ওই পশুটির মুখের লালার ছবি দেখে

বালতির জাবনা রাখা সামনের দরজাটির ভেতরে
কত শত অন্ধকার আর আঠালো পথ,
ফুল হয়ে আছে রাস্তায় গোড়ায়,
তাদের আকাশ পশুটির অন্ত্রেই ক্রস করে নিভৃতে

জকি ও মেয়েটির কথোপকথনরত ঘনিষ্ঠতা
এইমাত্র ঝরে পড়ছে তাদের আকৈশোরের ডাকবাক্সে

তারপর, এবার ভেঙে উঠবে দরজাটি
মেম থেকে আলাদা হবে ব্রেন ও
একটি মাইক্রো মুহুর্তে
গান হয়ে উঠবে সেই আল্‌জিভ
চামরের লেজ থেকে থরে বিথরে সরে
দুজন ছটফট করে উঠবে



যথারীতি এই অর্থবহ অন্ধতা
সঙ্গম শেষে ফেলে রাখা ব্রার মত
পিঠে চেপে বসে ঘোড়াটির

পিছিয়ে আসারকোনো কারণ পাচ্ছে না দেখতে জকিটি,
আশেপাশের গাছ ফেরত
পাখীরা তাদের স্বরতরঙ্গ ভুলে বসিয়েছে গলায়
শীৎকার মেয়েটির

ঊরুর ফাঁকে তার গ্রীষ্ম জাগছে
আর নতুন পাতা বেজে উঠছে
জকিটির অঙ্গে

মেয়েটি যেমন বসেছ ঘোড়াটির অন্ত্রে কিছুদিন, রাত কিছু
কাটাবার পর সমস্ত কাঁটাই
জকিটি চালান করেছে সেই পেটের ভেতর
ওই ঊরুর লেন দিয়ে
ওই উড়ু উড়ু হাওয়া জাপটে ধরে
আর পিঠে নখের দাগ
থেকে যায়
সমস্ত পথ ঘিরে থাকে পাখোয়াজ ব্লাউজে
জকিআর তরঙ্গদৈর্ঘ্য থেকে নিজেকে সরিয়ে
নিতে তো চাইছেই ঘোড়াটি

মেয়েটি একটি বছর শেষের কথা ভাবলে
ঘোড়াটি দেখে ক্যালেণ্ডারে যুবতী মেয়েদের
রেচনপ্রক্রিয়া আর ঘোড়াটির অন্ত্রে
বিনাশক কিছু অন্ধতা কিছু পড়ে থাকে শুধু
যেখান থেকে পোশাক পাল্টে দাঁড়ায় মেয়েটি

                             (চিত্রঋণ : l'age d'or)


2 comments: