লাল কামিজ এবং ছোটদের অন্যান্য কবিতা : আশরাফ জুয়েল



আই পি এল গন্দম
মদ ফোলানো চোখে একদিন দেখব
একটি কমলাকৃতির গোলাপি ব্রা-এর ভেতর বসে আছি-  
যেখানে ডাঃ আতিক এর চেম্বারে সিরিয়াল ধরে বসে থাকা
রোগীদের মতো বসে আছে আরও কয়েকটি ডুরেক্স মোড়ানো পৃথিবী-

শীর্ষবিন্দু খুঁজতে খুঁজতে ‘পৃথিবীর ডুরেক্স’ নিরাপত্তা লুণ্ঠিত
স্টেথোস্কোপের ক্লাইটোরিসে-

আর আমি হন্যে কুকুর হয়ে চুকচুক করে চাটতে থাকবো-
‘আই পি এল গন্দম’
আমার পাশে বসে থাকবে ঐশ্বরিয়ার চুরি যাওয়া অন্ধকার ফুটেজ।





লাল কামিজ

লাল কামিজের পাহাড় থেকে ঢলে পড়ে আশ্চর্য বেডরুম-
সেই রুম থেকে ভেসে আসে থ্রি-সাম পারফ্যুম;

আর তারপর-
দৃশ্যের মুঠোয় ধরা পড়ে একটি ‘ক্লিভেজ ফুল’
ফুল’টিকে চোখে চোখে রাখে মুহূর্তকাল-

জমিয়ে রাখা তিন পুরুষের দৃশ্য ভাঙিয়ে আমি কিনে ফেলি  
লাল কামিজের পাহাড়টা- 
হঠাৎ একটা টুইট এসে কামড় দ্যায় আমার
কাম-ভাবা-বেগে ভাসতে থাকা নীলাভ ইনবক্সকে-

‘অড্ড্রে হেপবার্ণ আমার সাথে এক কাপ দৃশ্য খেতে চান!’





রত্নাদীপা’দির কবিতা খেতে খেতে

ইচ্ছার বোতলে কয়েক পেগ ভদকা ঢেলে
নিজেকে ঝাঁকিয়ে নিচ্ছিলাম-
তখনই বুকের ভেতর মোচড় দিল ‘বাঁক’
রত্নাদীপা’দি-
তোমার কবিতা খেতে খেতে;
‘আমরা আর সানি লিওন’
‘সানি লিওন আর ঈশ্বর’
‘ঈশ্বর আর আমরা’- ছি ছি ধর্মমনা
বাঙালি পুরুষ আমরা;
তার’চে বরং কল্পনার মেদে ভ্যাসলিন মাখানো
এবং মাস্টারবেশনের কৌশল রপ্ত করাতে নিজেদের
ত্রস্ত রাখা সর্বোত্তম পন্থা 





দ্রৌপোদী

আমার মধ্যমার অনুপম শ্বেতপাথরটির নাম-
‘দ্রৌপোদী’
প্রতি বার সখী সঙ্গমের পূর্বে শ্বেতপাথরটিকে
সযত্নে খুলে রাখি আমি- কারণ আমার সঙ্গম-সখী
পাথরটিকে যারপরনাই হিংসা করেন।

ঘাম পর্বে আমার সখী তাঁর নিজস্ব ঈশ্বরের
শরীরে আগুন জ্বালায়- ইবাদতের সুরে ব্যঙ্ময় করে তুলে
সঙ্গম মঞ্চকে-

সঙ্গম শেষ হলেই
সে নিজেই আমার মধ্যমা’তে পরিয়ে দ্যায়
‘দ্রোপোদী’ নামক শ্বেতপাথর খণ্ডটি।




পাগল

এক ন্যাংটা পাগলা গুলশান চত্বরে দাঁড়িয়ে
চিৎকার করে বলে-
‘মা, চুদে দে, চুদে দে, চুদে দে’-
লোক লজ্জার ভয়ে কেউ তাঁর পাশে ঘেঁষে না।

সাহস করে এক কবি একদিন তাঁকে
জিজ্ঞেস করে- ‘মা, কাকে, কেন চুদে দিবে?’   

পাগল বলে, ‘ Mother, FUCK, FUCK THE WHOLE WORLD.’

এরপর থেকে সেই কবি মনে মনে আওড়াতে থাকে-
‘মা, FF the WW…!’


(চিত্রঋণ : Avinoam Noma Bar)

No comments:

Post a Comment