বঙ্কিমচন্দ্র | অর্জুন বন্দ্যোপাধ্যায় প্রণীত | ষষ্ঠ পর্ব



হীরে বাঁচানোর জন্য
কাঠের গুঁড়ো আর চিংড়ি বাটার মধ্যে
এ-ও এক বেঁচে থাকা
—দ্য বার্ডেন অব বিইং বার্মিজ, কো কো থেট 

রাষ্ট্রকাহিনি
আনন্দবাজার পত্রিকা
৩ জানুয়ারি, ২০১৬, রবিবার
নিজস্ব সংবাদদাতা: পুলিশি জনসংযোগ বারেবারেই দেখেছে জঙ্গলমহল। কখনও ফুটবল প্রতিযোগিতা, কখনও স্বাস্থ্যশিবির, কখনও আবার পোশাক ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বিলি। এবার প্রায় ছ’মাস পরে ঝাড়খণ্ড সীমানা লাগোয়া একদা মাওবাদী ধাত্রীভূমি বেলপাহাড়ির চিড়াকুটি গ্রামের ওদলচুয়া হাইস্কুল প্রাঙ্গণে জেলা পুলিশের উদ্যোগে বিশাল আকারের জনসংযোগ কর্মসূচি দেখল জঙ্গলমহল।

দৈনিক স্টেটসম্যান
৩ জানুয়ারি, ২০১৬, রবিবার
স্টাফ রিপোর্টার: …এদিনের অনুষ্ঠানে রাজ্য পুলিশের আইজি (পশ্চিমাঞ্চল) সিদ্ধিনাথ গুপ্ত ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ডিআইজি (মেদিনীপুর রেঞ্জ) বিশাল গর্গ, সিআরপিএফ-এর ডিআইজি বি ডি দাস, ঝাড়গ্রামের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ। এছাড়াও ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সিংহ, জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা। ছিলেন তৃণমূল জেলা সভাপতি দীনেন রায় ও দলের দুই কার্যকরী সভাপতি নির্মল ঘোষ ও প্রদ্যোৎ ঘোষ।

এই সময়
৩ জানুয়ারি, ২০১৬, রবিবার
স্টাফ রিপোর্টার: শনিবার দুপুরে পুলিশ প্রশাসনের শীর্ষকর্তাদের উপস্থিতিতে শিমুলপাল, ভুলাভেদা ও বেলপাহাড়ি এই তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ৩০টি গ্রামের প্রায় হাজারখানেক বাসিন্দার হাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় নানা ‘উপহার’ তুলে দেওয়া হল। দশজন পড়ুয়াকে দেওয়া হল সাইকেল।

বর্তমান
৩ জানুয়ারি, ২০১৬, রবিবার
নিজস্ব সংবাদদাতা: …এদিন ১,২০০ বাসিন্দাদের ত্রিপল, পোশাক, ছাতা এবং বিস্কুট ও চকোলেট দেওয়া হয়। এছাড়াও প্রত্যন্ত গ্রামের দশজন ছাত্রছাত্রীকে দেওয়া হয় সাইকেল। অনুষ্ঠান শেষে হাজার দু’য়েক বাসিন্দাদের খিচুড়িও খাওয়ানো হয়।

আজকাল
৩ জানুয়ারি, ২০১৬, রবিবার
নিজস্ব সংবাদদাতা: ...ভরপেট খিচুড়ি খেয়ে নতুন শাড়ি হাতে নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে লখিমণি সোরেন মুচকি হেসে বলেন

প্রতিদিন
৩ জানুয়ারি, ২০১৬, রবিবার
স্টাফ রিপোর্টার: …অনুষ্ঠান মঞ্চে আইজি (পশ্চিমাঞ্চল) সিদ্ধিনাথ গুপ্ত বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুসারে জঙ্গলমহলে নিয়মিত জনসংযোগ কর্মসূচি চলছে। …’
অনুষ্ঠানে বাসিন্দাদের উদ্দেশে সিআরপি-র ডিআইজি বি ডি দাস বলেন, ‘জঙ্গলমহলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করার জন্য আমরা রাজ্যপুলিশকে সহায়তা করে চলেছি। জঙ্গলমহলে সিআরপি-র বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের কোনও অভিযোগ নেই। আমরা জওয়ানদের বলেছি, গ্রামবাসীদের সঙ্গে পরিবারের মতো মিশে থাকতে, যাতে এলাকার সমস্ত খবর বাসিন্দারা আমাদের দিতে পারেন।’
জেলা সভাপতি উত্তরা সিংহ বলেন, ‘আপনারা পিছনে ফিরে তাকাবেন না। আমরা এলাকার প্রতিটি বাড়িতে উন্নয়নের 

সোনার রাজার মতোই কুৎসিত সব প্রকরণ কুৎসিত
পুলিশের এই উপহার অনুষ্ঠানের আটচল্লিশ ঘন্টার মধ্যে বাস্তবিক অর্থেই জঙ্গলমহল এলাকার প্রতিটি বাড়িতে পৌঁছে গেল উন্নয়ন। প্রকৃত উপহার। চৌঠা জানুয়ারি ভোররাত থেকে পুলিশ-সিআরপি যৌথভাবে এরিয়া ডমিনেশন, অ্যামবুশ, এল আর পি চালালো ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ি ও জামবনি, পুরুলিয়ার বান্দোয়ান থানা এলাকা এবং ঝাড়খণ্ডের পূর্ব সিংভূম জেলার চাকুলিয়া, গালুডি ও ঘাটশিলা থানার পাহাড় জঙ্গল এবং প্রত্যন্ত গ্রামে। সিআরপি-র ১৪৮, ১৬৫ এবং ১৯৩ নম্বর ব্যাটেলিয়ান পুরুলিয়ার বলরামপুর ও বাঘমুণ্ডি এলাকার মধ্যবর্তী মাঠা, ভুচুংডি, টাইগার মোড় সহ আশপাশ এলাকায়, ডাভা, দেউলি, গড়গাঁ, নেকড়ে প্রভৃতি গ্রামে, ঝাড়খণ্ড লাগোয়া বেলপাহাড়ির জামাইবারি, ডাকাই, শাঁখাভাঙা, লবনি, বীরমাদল, ঢাঙিকুসুম, পাথরচাকড়ির মতো প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে ঘরে ঘরে ঢুকে অভিযান চালায়। কিন্তু কোনও মাওবাদীকে ধরা তো দূরের কথা, অভিযানে অস্ত্র এমনকি একটা চকোলেট বোমাও উদ্ধার করা যায়নি। চাপ পুলিশের ওপরেও ছিল। বছর চারেক আগে রঞ্জন মুণ্ডা গ্রেপ্তার হওয়ার পর জঙ্গলমহলের আর কোনও বড়ো মাপের গুরুত্বপূর্ণ মাওবাদী তাদের হাতে ধরা পড়েনি। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে চিড়াকুটি গ্রামের ওদলচুয়া হাইস্কুলে ভিক্ষাদান ও খিচুড়ি ভোজনের আগেই পুলিশের কাছে খবর ছিল ছত্তীশগড় এবং ঝাড়খণ্ডে পুলিশের গুলিতে জখম কিছু মাওবাদী পশ্চিমবঙ্গের জঙ্গলমহলে চিকিৎসার জন্য আশ্রয় নিয়েছে। কিন্তু কারা তাদের আশ্রয় দিলো, তাদের খোঁজ খিচুড়ি খাইয়েও বের করতে পারেনি পুলিশ। অন্যদিকে বেলপাহাড়ি ও চাকুলিয়া এলাকায় মদন, রেখা ও শ্যামলের স্কোয়াড, বান্দোয়ান ও পটমদা এলাকায় শচীনের স্কোয়াড, আর জামবনি ও ঘাটশিলার সীমানা বরাবর জয়ন্তর স্কোয়াড; মনসারাম হেমব্রম ওরফে বিকাশ, পার্টির রাজ্য সম্পাদক অসীম মণ্ডল ওরফে আকাশ, কেন্দ্রীয় কমিটি নির্বাচিত পশ্চিমবঙ্গের নেতা পরিমল মাঝি ওরফে অনলজীকে গ্রেপ্তার আর শিলদার ই এফ আর ক্যাম্প থেকে লুঠ হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার—চাপ ছিল এগুলোও। কিন্তু ফলাফল, শূন্য। উলটে গ্রামগুলিতে আদিবাসী মূলবাসী মেয়ে-বউরা আঁশবটি দা কুড়ুল শাবল হাতের কাছে যা পেয়েছে তা-ই নিয়ে রুখে দাঁড়িয়েছেদু’দিন আগে খিচুড়ি খেয়ে নতুন ছাপা শাড়ি নিয়ে যাওয়া লখিমণি সোরেনও ছিলেন সেই দলে। যদিও সিআরপি কোনও মানবাধিকার লঙ্ঘন করেনি—এটা বললে বেশ ভুল বলা হয়প্রকৃতপ্রস্তাবে এই গ্রামগুলিতে যেহেতু মানবকুলের কেউ থাকেন না তাই সিআরপি’র পক্ষে কোনও মানবাধিকার লঙ্ঘন করা সম্ভব হয়নি। পুলিশ-সিআরপি-র এই যৌথবাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছে দেড় বছরের একটি শিশু এবং চুয়ান্ন বছরের একজন প্রৌঢ়। একজনের চোখের ভেতর ঢুকে গেছে বন্দুকের কুঁদো। কিন্তু অসমসাহসী গ্রামের মেয়েরা যে এভাবে প্রতিরোধ করবে, দু’দিন আগে ভরপেট খিচুড়ি খাইয়ে যাওয়া যৌথবাহিনী তা দুঃস্বপ্নেও ভাবেনি।  
বরং, যৌথবাহিনী তাদের এই অভিযানের সাফল্য সম্পর্কে এতটাই নিশ্চিত ছিল যে তারা ব্যাটারিচালিত রেকর্ড প্লেয়ার, মাইক এবং মনিটরও সঙ্গে এনেছিল। অভিযান শেষে ক্যাম্প-ফায়ারে গান চালিয়ে তারা একটু আনন্দ ও বিশ্রাম ক’রে নেবে, এটুকুই তো ছিল তাদের অভিলাসতারা সঙ্গে ক’রে এনেছিল জাঁ-পল সার্ত্র-এর একটি গান। যে গানটি তিনি একদিন পথ চলতে চলতে তৈরি ক’রে ফেলেছিলেন।
Ah! Ah! Ah! Ah! Qui I’eut cru
On sera tous, tous, tous mourus,
Tue´s sans pitie´ comme does chines dans les rues.
C’est le progres! 

যার বাঙলাটা অনেকটা এরকম,
ওঃ! কেই বা বিশ্বাস করতে পারত সবাই সবাই সবাই মরবে 
সবাইকে খতম করা হবে কুকুরের মতো রাস্তায়
বিনা মমতায়! এই তো অগ্রগতি   

যৌথবাহিনীর এই অভিযানের পরদিন গোটা কলকাতা শীতসকালের ঘুম ভেঙে দেখল, সারা শহর ছেয়ে গেছে একটা অদ্ভুতুড়ে পোস্টারে। রাস্তায় দেয়ালে দোকানে বাসের পেছনে প্রস্রাবখানায় রেলস্টেশনে যেখানে যত পোস্টার ছিল, যত পোস্টার ছিল ফ্ল্যাট বাড়ি মেস পেইং-গেস্ট অফিস গোডাউনের, যত পোস্টার ছিল সরকারের উন্নয়ন খতিয়ানের, যত পোস্টার ছিল ব্রিগেড চলো, যত পোস্টার ছিল গোপনে মদ ছাড়ান, যত পোস্টার ছিল নেশামুক্তি কেন্দ্র, যত পোস্টার ছিল লিঙ্গ বর্ধনের, যত পোস্টার ছিল হার্বাল ক্লিনিক, যত পোস্টার ছিল হাকিমি কবিরাজী আয়ুর্বেদ, যত পোস্টার ছিল জ্যোতিষ মার্তণ্ড্য যাজ্ঞিক বাস্তুবিদ কালসর্প পিতৃদোষ প্রেতদোষ গ্রহণযোগ ছন্নছাড়া যোগ মাঙ্গলিক দোষ, যত পোস্টার ছিল সন্তানে বাধা শিক্ষা চাকরি বিবাহ ব্যবসায় বাধা, যত পোস্টার ছিল বিবাহ রেজিস্টারের সব ঢেকে গেছে নীল কালিতে লেখা শাদা রঙের একটা পোস্টারে। তাতে লেখা, ‘জঙ্গলমহল এখানেই’। ব্যস্‌। আর কিচ্ছু লেখা নেইকোনও কমিটির নাম। কোনও দলের নাম। কিচ্ছু না। শুধু এটুকু। রাজ্য সরকার যত শীঘ্র সম্ভব এই ভূতুড়ে পোস্টারগুলো ছিঁড়ে ফেলতে, সরিয়ে দিতে তৎপর হ’ল। হওয়াটাই স্বাভাবিক। একরাতের মধ্যে এত পোস্টার ছাপালোই-বা কে। আর তা গোটা শহর জুড়ে এত জায়গায় লাগালোই-বা কে। সেও এক বিস্ময়কিন্তু এর ফলে এক বিচিত্র সমস্যার সম্মুখীন হ’ল সরকার। এত লোক কোথায় যারা এগুলো ছিঁড়বেএজন্য তড়িঘড়ি হাজারখানেক অস্থায়ী ঠিকা কর্মী নিয়োগ করতে হয় সরকারকে। তারা দিনভর এগুলো ছিঁড়তে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। ফলে সেদিন সন্ধের মধ্যেই কলকাতা পোস্টারমুক্ত হয়।           
আরও একটি ছোট্ট ঘটনা ঘটল শহরের এই শীতকালীন মেলা ও উৎসবের মরশুমেমনসারাম হেমব্রম ওরফে বিকাশ, যিনি ছ’বছর আগে কালাশনিকভ কাঁধে সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন, কলকাতা শহরের একটি এফ এম চ্যানেলকে বিবৃতি দিয়ে জানান, ৩০ দিনের মধ্যে সরকারকে তাঁরা এই অভিযানের জবাব দেবেন। এফ এম চ্যানেলটিকে দেওয়া বিকাশের বিবৃতি সারা শহর শুনেছে। বিকাশ তাঁর সওয়া তিন মিনিটের বিবৃতিতে রবীন্দ্রনাথকেও উদ্ধৃত করেছেন, মানুষের পক্ষে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর মাঝারির শাসন। এই শাসনে যা কিছু সবুজ তা হলদে হয়ে যায়। যা কিছু সজীব তা কাঠ হয়ে ওঠে। উন্নয়নের মানে করা হয়েছে কয়েক শ’ বছর ধরে এইসব জমি, জঙ্গল, পাহাড় আর অধিবাসী লুঠ করা। স্বাধীনতার পর গঠিত বিভিন্ন রাজনৈতিক দল যারা সরকার গঠন করেছে তারা আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকার জন্য বিভিন্ন আইন, যেমন 1/70, 1996 PESA, 5th and 6th Schedules, 2006 Forest Right Act ভঙ্গ ক’রে আসছে। যাতে টাটা, পসকো, বিরলা, বেদান্ত, এসার, আনরাক ও জিন্দালের মতো বড়ো বড়ো কর্পোরেটরা এই পাহাড় জঙ্গল থেকে অর্থ রোজগার করতে পারে।  
এর ঠিক তিন দিন পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বামপন্থী জঙ্গি কার্যকলাপ রোধ শাখা থেকে একটি কড়া সতর্ক বার্তা আসে রাজ্য গোয়েন্দা দপ্তর ও স্বরাষ্ট্র সচিবের হাতে।  
A 60 member Maoists will attack Police/CRPF camp any time from now till 26th January, 2016. The source has stated a meeting of the top Maoists Akash, Jayanta, Ranjit Pal, Sepai Tudu, Kanu Munda and others were held in the house of one villager at Gurabanda at Jharkhand on the night of 5th January, 2016, wherein they discussed Kishanji’s encounter and decided to that they should avenge the killing of Kishanji by attacking Bengal.
They decided to start with Belpahari by attacking one or more Police/CRPF camps. They also discussed that now with the coming in of some young boys from Jharkhand and Chhattisgarh, the Maoist group has swelled up to 60 people and they need more arms and ammunitions, for which they have to attack small Police/CRPF camps.
The decision was taken in this meeting to attack small camps/PS in Belpahari area on or before 26th January, 2016. They also mentioned that they will enter Belpahari through ‘Kodopura Route’, Kodopura is in Simulpal Gram Panchayet.
Information reveals that on 6th January, 2016, this Maoist group had moved from Gurabanda to Ghatshila and the group is now preparing to enter Belpahari on or before 26th January, 2016. The target is a Police or CRPF camp in this area.
It is, therefore, clear that a very huge group of Maoist approximately 60 in number led by the Maoist leaders Sepai Tudu, Kanu Munda, Marshal, Kartick, Bhoglu Munda, Akash, Jayanta and others may enter Belpahari via Kodopura to attack a Police/CRPF Camp. 

ফলে, ছাব্বিশে জানুয়ারি অবধি ঝাড়খণ্ড সীমানাবর্তী পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার জঙ্গলমহলে জারি হয়েছে হাই অ্যালার্ট। জঙ্গলমহলে ৪৬ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীকেও সতর্ক করা হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়ার পুলিশ সুপারদের নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছেন রাজ্য পুলিশের আইজি (পশ্চিমাঞ্চল) সিদ্ধিনাথ গুপ্ত। বেলপাহাড়ি থানায় ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার তথা ঝাড়গ্রামের ভারপ্রাপ্ত এস পি ভারতী ঘোষ, বাঁকুড়ার এস পি নীলকান্ত সুধীরকুমার ও পুরুলিয়ার এস পি রূপেশ কুমার, ডিআইজি (পশ্চিমাঞ্চল) বিশাল গর্গ, সিআরপি-র ডিআইজি বি ডি দাস সহ সিআরপিএফ ও কোবরা বাহিনীর শীর্ষ কর্তারা।
(চলবে)

(চিত্রঋণ : Francisco Goya)


No comments:

Post a Comment